বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় দুই শিক্ষককে এসএসসি পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের পর খাতা বিতরণ ও আগে উত্তোলনের অভিযোগে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
রোববার দুপুরে সোনাতলা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০৩ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেন সোনাতলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন।
অব্যাহতি পাওয়া দুই শিক্ষক হলেন- সবুজ সাথী বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুবকর সিদ্দিক এবং লুৎফর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান সাবু চৌধুরী।
এসব ঘটনা নিশ্চিত করে সোনাতলা থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা বলেন, মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে খাতা দেওয়া নিয়ে একটি কক্ষে শিক্ষার্থী ও পরীক্ষকদের মাঝে সাময়িক সমস্যা দেখা দেয়।
কক্ষটিতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেন ইউএনও সাদিয়া আফরিন।
পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় খাতা দিতে বেশ কয়েক মিনিট দেরি করেন পরীক্ষকরা।
কিন্তু নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগেই নিয়ে নেন। এতে করে অন্তত ২০ জন পরীক্ষার্থীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
সোনাতলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান বলেন, ১০৩ নম্বর কক্ষে শিচারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও হাবিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।
হলের দায়িত্বরত দুই শিক্ষক সময়ের প্রতি যত্নবান না হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক মিনিট পর খাতা সরবরাহ করেন। আবার নৈর্ব্যক্তিক উত্তরপত্র নির্দিষ্ট সময়ের ১০ মিনিট আগেই শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে জমা নিয়ে নেন।
প্রধান শিক্ষক জানান, বিষয়টি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করলে ইউএনও ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবুবকর সিদ্দিক ও সাবু চৌধুরীকে পরীক্ষা হলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা এ বিষয়ে বলেন, ঘড়ির সময় ঠিক না থাকার জন্য এমনটা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে আমরা এটা করিনি। এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন,
ঘটনা শোনার পর স্কুলে পৌঁছে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে পরীক্ষা হলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। এ ছাড়া ওই হলের পরীক্ষার্থীদেরকে অন্য হলে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।