১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০১৯। চলবে পুরো মাস। মেলায় আছে খণ্ডকালীন কর্মী হিসেবে কাজের অনেক সুযোগ।
কাজ করতে চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এখনই। বাণিজ্য মেলা চলাকালীন সেলস এক্সিকিউটিভ, ব্র্যান্ড প্রমোটর বা বিক্রয়কর্মী পদে লোকবল নিয়ে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
ফার্নিচার প্রতিষ্ঠান, কনজ্যুমার ও হাউসহোল্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, রেডিমেট পোশাক প্রস্তুতকারী বিভিন্ন ব্র্যান্ড, কসমেটিক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল কম্পানি, অ্যালুমিনিয়াম প্রতিষ্ঠান,
খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, ইলেকট্রনিকস কম্পানিসহ নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান মেলায় নিজেদের স্টলে কর্মী নেয়। দক্ষতা দেখাতে পারলে স্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয় অনেক প্রতিষ্ঠান।
কী যোগ্যতা থাকা চাই
এইচএসসি পাস বা স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের কাজের সুযোগ সবচেয়ে বেশি। বয়স চাওয়া হয় ১৮ থেকে ৩০-এর মধ্যে। আগে কোনো প্রতিষ্ঠানের শোরুম বা মেলায় কিংবা কোনো ইভেন্টে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সুযোগ থাকে নতুনদেরও। চটপটে, উদ্যমী, গুছিয়ে কথা বলায় দক্ষ প্রার্থীরা বাছাইয়ে অগ্রাধিকার পাবে। কম্পিউটার ও ইংরেজিতে দক্ষ প্রার্থীরা বাছাইয়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বলে জানান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিয়াউল হক। তিনি বলেন, ‘কর্মী বাছাইয়ে আমরা সাধারণত কাজের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। নতুনদের বেলায় দেখা হয় কাজের মানসিকতা, ধৈর্য ও স্মার্টনেস।’
আরএফএল গ্রুপ
দেশের অন্যতম কনজ্যুমার ও হাউসহোল্ড পণ্য উত্পানকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এবারের বাণিজ্য মেলায় বিক্রয় প্রতিনিধি পদে ৫০০-৬০০ কর্মী নেবে। জিয়াউল হক জানান, জাগো জবসে কর্মী চেয়ে প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞাপন। এরই মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিভি পাঠানোর শেষ তারিখ ৮ ডিসেম্বর। তবে প্রাণ-আরএফএল সেন্টারের মানবসম্পদ বিভাগে হাতে হাতে আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে। আবেদনের যোগ্যতা এইচএসসি পাস। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের অধ্যয়নরতরাও আবেদন করতে পারবেন। বাছাই পরীক্ষার পর আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে কাজের সময়, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। মেলা শেষে দক্ষদের স্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হবে।
যোগাযোগ : আরএফএল গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল সেন্টার, ১০৫ মধ্য বাড্ডা, ঢাকা