হুছাইন মুহাম্মদ। ৩৮ তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। মেধাক্রম ১২৩। তিনি ৩৭ তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুরের আমলা সরকারি কলেজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
–
হুছাইন মুহাম্মদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের (২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু বালকি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হাজী আরশাদ আলী ডিগ্রী কলেজ এইচএসসি পাশ করেন।
–
তার সফলতার পেছনে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তার স্ত্রী, যার সঙ্গে হুছাইন মুহাম্মদের সাত বছরের সম্পর্ক ছিল। এছাড়া তাদের শিক্ষক পরিবার হওয়ায় পড়ালেখার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বড় চাচা সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেনে।
–
হুছাইন মুহাম্মদ বিভিন্ন সেমিনারে মোটিভেশনাল বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকেন। নিজের সফলতার বিষয়ে তিনি বলেন, লক্ষ্য ঠিক রেখে নিয়মিত প্রস্তুতি নিতে হবে এবং হতে হবে সৃজনশীল। বছরের পর বছর পড়তে হবে না। বিগত বছরের প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
–
বিগত বছরের প্রশ্ন নিয়ে ভালো ধারণা থাকলে পড়াশোনার চাপ অনেকটা কমে আসবে। এছাড়া ব্রেইন স্টর্মিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যে বিষয়টিকে পছন্দ করেন বা কোন সেক্টরে জব করতে চান সেটাকে আগে ঠিক করতে হবে।
–
একই সঙ্গে সেই সেক্টরের নিয়োগ পরীক্ষায় বিগত বছরে কেমন ধরণের প্রশ্ন এসেছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, অনেকেই আছেন বছরের পর বছর অনেক পড়েই যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নেই যে, আমি কি পড়ছি, কেন পড়ছি। কোন বিষয়ে প্রশ্ন আসে আর কোন বিষয়ে আসেনা সে বিষয়ে তাদের ধারণা নেই।
–
আমি নিজে বিগত বছরের প্রশ্ন নিয়ে গবেষণা করতে করতে এমন ধারণা চলে আসছিল যে, কোন বিষয়ে প্রশ্ন আসতে পারে আর কোন বিষয়ে না। বিভিন্ন সেক্টরের জবের পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন আসে। সব পরীক্ষায় একই ধরণের প্রশ্ন আসে না।
–
সুতরাং নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে হবে বলে জানান তিনি। তিনি জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশের অনেক কলেজ থেকে অনেকেই এডমিনসহ বিভিন্ন ক্যাডার হয়েছেন। এটা প্রমাণ করে চেষ্টা করলে অনেক কিছুই সম্ভব।